প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দু’দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ‘জাপান-বাংলাদেশ-সমন্বিত অংশীদারিত্ব’ সূচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে আমরা ‘জাপান-বাংলাদেশ সমন্বিত অংশীদারিত্ব’ সূচনা করেছি। আমাদের সমন্বিত অংশীদারিত্ব অদূর ভবিষ্যতে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হতে চলেছে।’
বাংলাদেশ এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) মধ্যে সহযোগিতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে প্রচারিত ভিডিও বার্তায় তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য পূরণে জাপানের সহায়তা কামনা করেন।
তিনি স্মরণ করেন যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপান ও এর জনগণের অমূল্য সমর্থন ও অবদানের জন্য বাংলাদেশ গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।
শেখ হাসিনা তার বিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে আন্তরিকতা, বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল মূল্যবোধ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান সেই মূল্যবোধ ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে চলেছে।
তিনি স্মরণ করেন যে, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে তার প্রথম টোকিও সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে জাপানে তার নিজের সফরের পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে ২০১৪ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন।