আন্তঃদেশীয় উৎপাদন প্রক্রিয়ার শুরুটা গত শতকের আশির দশকে। তখন থেকে এ প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়তা করেছে। কমিয়েছে পণ্যের দাম। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে রেখেছে তাত্পর্যজনক অবদান। কিন্তু কভিড মহামারী ও ইউক্রেন যুদ্ধসৃষ্ট অভিঘাত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখিয়েছে বৈশ্বিক শ্রম বিভাজন ও জাস্ট ইন টাইম প্রডাকশন প্রভাবিত দক্ষতার সুফল এসেছে স্থায়িত্বশীলতার বিনিময়ে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, চলমান বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার বাধাগুলো সহসা নিরসনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। স্বভাবত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাই উৎপাদন প্রক্রিয়া নিজ দেশে ফিরিয়ে আনা (রিশোরিং) কিংবা প্রতিবেশী কোনো দেশে নিয়ে যাওয়ার (ফ্রেন্ড-শোরিং) বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে ভৌগোলিক নৈকট্যের সঙ্গে বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা খুঁজছে তারা।
তবে এক প্রজন্ম আগের স্বল্পমেয়াদি এবং অধিক জাতীয় (কিংবা আঞ্চলিক) সরবরাহ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকে বেশ ব্যয়বহুল হবে। কতটা ব্যয়বহুল তার ইঙ্গিত পাওয়ার জন্য ব্রেক্সিট-পরবর্তী ব্রিটেনের সাম্প্রতিক বাণিজ্য পুনরুদ্ধারে ঘাটতির বিষয়টিই যথেষ্ট। যুক্তরাজ্যের বাজেটবিষয়ক কার্যালয়ের হিসাব বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে গভীর বাণিজ্য সংযুক্তি থেকে লব্ধ উৎপাদনশীলতার চেয়ে দীর্ঘমেয়াদে এখন দেশটির উৎপাদনশীলতা কমবে ৪ শতাংশ। বিশ্বায়নসৃষ্ট বিশেষায়ণ বহুমাত্রিক সুফল এনেছে, যেমনটা আমিসহ অনেক অর্থনীতিবিদই দীর্ঘদিন ধরে বলে এসেছি। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, যার মধ্যে অন্যতম।