রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি এখন বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম। জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে এটাই স্বাভাবিক। রোদে পুড়ে বেড়ানোটা ক্লান্তিকর এ সময়, ফলে পর্যটকের ভিড় কম। কিন্তু নিরিবিলিতে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে এই দাবদাহ উপেক্ষা করতে পারলে অন্য এক রাঙামাটিকে চেনা যায়। কেননা, এই জ্যৈষ্ঠেই তো প্রকৃতি তার যা কিছু ঐশ্বর্য, ফুলে-ফলে সবকিছু উজাড় করে দেয়। কয়েক দিন আগে এমনই এক গরমে রাঙামাটিতে গিয়ে চারদিকে মৌসুমি ফলের ঘ্রাণ, ‘বিজু এজো’ পাখির ডাক আর নানা রঙের ফুলের বৈচিত্র্যে মনটাকে রাঙিয়ে এলাম।
বোটে ওঠার আগে সদ্য খেত থেকে তুলে আনা রসাল আনারস খেতে খেতে দেখছিলাম যেন অতিকায় ক্যানভাসে আঁকা এক মহাকাব্যিক ছবি। হ্রদের তীরে অনন্ত সবুজের দিকে চোখ রেখে মনে হলো, কারা যেন বাংলাদেশের পতাকা সাজিয়ে রেখেছে। আসলে ওখানে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া। হ্রদের পাড় ধরে এগোতে এগোতে দেখেছি পারিজাত, কাঠগোলাপ, বিজু, শ্বেতকাঞ্চন, মোরগফুল, ঝুমকোলতা, বনজুঁই, কেতকীসহ নাম না জানা ফুলের বাহার। গ্রীষ্মের তাপের মধ্যেও প্রকৃতির এমন শোভা শীতে কিংবা অন্য সময় বিরল।