‘চুড়ির তালে নুড়ির মালা রিনিঝিনি বাজে লো,/ খোঁপায় দোলে বনফুলের কুঁড়ি…’ কথায় আছে ‘হাত ভরা চুড়ি, খোঁপায় বনফুলের কুঁড়ি, পরনে বর্ষা নীল শাড়ি তবেই বঙ্গ নারী।’
আসছে বর্ষার দিন। প্রকৃতির সাজে তাই নীল নীল রং। বৃষ্টির ছন্দে, আনন্দে বাজবে চুড়ির রিনিঝিনি সুর। হ্যাঁ, বলছি নারীর হাতের চুড়ির কথা। বৃষ্টি আর চুড়ির সুর তাল লয় যেন একই ছন্দে বয়ে যায় বর্ষার দিনে। নারীর সাজসজ্জায় চুড়ির আবেদন চিরন্তন। চুড়ি না হলে অভিমানভরে বধূ গেয়ে ওঠে, ‘কিনে দে রেশমি চুড়ি, নইলে যাব বাপের বাড়ি…।’ নারীর চুড়িপ্রীতি এতটাই গভীর যে না পেলে বউয়ের মনে বরের ঘর ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার ভাবনাও খেলে যায়।
একসময় কাচের চুড়ির জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ রঙের ডজন কয়েক কাচের রেশমি চুড়ি সাজের বাক্সে থাকতই থাকত। কিন্তু এখন বদলেছে সময়। কাচের চুড়ির পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছে কাঠ, কাপড়, কড়ি, পুঁতি, মেটাল আরও কত-কী!