কাঁধ শরীরের ৩টি হাড়, ৪টি জোড়া ও ৩০টি পেশির সমন্বয়ে তৈরি। শরীরের জোড়াগুলোর মধ্যে কাঁধের জোড়া বেশি নড়াচড়া করে। লেখাপড়া, হাতে জিনিস বহন করা, হাতলজাতীয় কিছু ধরাসহ হাতের যেকোনো কাজে এই সন্ধি কাজ করে। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, দুর্ঘটনা বা আঘাত ছাড়াও কিছু রোগের কারণেও কাঁধ জখম হয়ে থাকে। আবার পেশাগত কারণ, যেমন ছবি আঁকা, গ্লাস পরিষ্কার করা, ওজন তোলা, বোর্ডে লেখা, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করা ইত্যাদি কাঁধকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। এ ছাড়া বয়স্ক ব্যক্তিদের ব্যবহারজনিত হাড় ক্ষয় হতে পারে।
কাঁধে সমস্যা হলে কাঁধ ব্যথা ছাড়াও হাতের নড়াচড়া সীমিত হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে হাত ওপরে তোলা বা পেছন দিকে নেওয়া, চুল আঁচড়ানো বা পেছনে বোতাম লাগানোর মতো কাজ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
প্রাথমিক করণীয়
হঠাৎ আঘাত পেলে সন্ধিকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে। তাতে জোড়ার ক্ষতি ও ব্যথা কম হবে। বরফের টুকরা বা ঠান্ডা পানি কাপড়ে বা প্লাস্টিকের ব্যাগে নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট বা ২ ঘণ্টা পরপর ২০ মিনিট করে লাগালে ব্যথা ও ফোলা কমে আসবে। এই প্রক্রিয়া আঘাতের পর ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে। জোড়ায় ইলাসটো কমপ্রেশন, আর্ম সিলিং বা স্প্লিন্ট ব্যবহারে ফোলা ও ব্যথা কমে আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হবে। ব্যথা ও ফোলা সেরে উঠলে জোড়া নমনীয় এবং পেশি শক্তিশালী করার ব্যায়াম করতে হবে। জোড়া স্থানচ্যুত হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।