ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে দেশে ভোজ্যতেল ও মসুর ডালের দাম বাড়ায় ভর্তুকি কমাতে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী দরিদ্র পরিবারের মাঝে পণ্য বিতরণ শুরুর আগে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
তবে পণ্যমূল্য বাড়ার চাপ দেশের দরিদ্র ভোক্তাদের কাঁধে না দিয়ে সরকার ভতুর্কি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ঈদ উল ফিতরের আগে ভোক্তারা টিসিবি থেকে যে দামে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি পেয়েছেন, ঈদ উল আযহার আগেও একই দামে পাবেন।
ভর্তুকি কমাতে টিসিবি প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং মসুর ডালের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করার প্রস্তাব করেছিল।
দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন না করায় আগের দামেই তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি করা হবে বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান।
আগামী ২২ জুন থেকে সারাদেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে। ৫ জুলাইয়ের মধ্যে সারাদেশের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে পণ্য বিক্রি সম্পন্ন করবে সংস্থাটি।
১৬-৩০ জুলাই সময়কালে এসব পণ্য বিক্রি করার কথা থাকলেও সময়মত সয়াবিন তেল সংগ্রহ করতে পারেনি টিসিবি।