শিশুরা কথা বলতে পারে না। তাইতো তাদের মনের ভাষা বুঝে নিতে অভিভাবককেই। শিশু কখন খাবে, কখন ঘুমাবে, কখন গোসল করবে কিংবা কখন পস্রাব-পায়খানা করবে তার সবকিছুর খেয়ালই রাখতে হয় অভিভাবকে। এক্ষেত্রে শিশুরা যাতে বিছানার পস্রাব না করে, সেজন্য তাদের দাঁড় করিয়ে কিংবা পটে বসিয়ে ‘শ...শ...’, ‘শ...শ...’ শব্দটি কয়েকবার উচ্চারণ করা হয়। এর ফলে শিশুরা সুন্দরভাবে প্রস্রাব করে থাকে বা তাদের প্রস্রাবে বেগ আসে।
শিশুদের এভাবেই প্রস্রাব প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন অভিভাবকরা। আর এটা শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বজুড়েই ব্যবহৃত একটি কার্যকরী কৌশল। কিন্তু কথা হচ্ছে, এই ‘শ...শ...’ শব্দটি আসলে কীভাবে শিশুদের প্রস্রাবে সাহায্য করে? বিষয়টি আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে কুকুরের ওপর করা রাশিয়ান বিজ্ঞানী ইভান পাভলভের একটি পরীক্ষা থেকে। মাংসের টুকরো খাওয়ার ক্ষেত্রে কুকুরের মুখের ভেতর প্রচুর লালা তৈরি হয়ে থাকে। পালভল তার পরীক্ষায় একটি ঘণ্টার আওয়াজ বাজিয়ে কুকুরকে মাংস খাওয়াতেন।