কামরুন নাহার পলি, পেশা গৃহিণী। তাঁর তিন ব্যাংকে ছয়টি হিসাব রয়েছে। শুধু তাই নয়, এসব হিসাবে রয়েছে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা। পলিকে কোটিপতি গৃহিণী বললে একদম অত্যুক্তি হবে না। নিজের উপার্জনের বিষয়ে এক্কেবারে সাচ্চা, হিসাব খোলার সময়ই আয়ের উৎস হিসেবে স্বামীকে দেখিয়েছেন তিনি। স্বামীও যেনতেন কেউ নন, সরকারি চাকরিজীবী আনিছ উদ্দিন আহমেদ ওরফে শামীম। তিনি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিএসএল) সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি পলির। দুদকের আবেদনে সম্প্রতি তাঁর ছয়টি ব্যাংক হিসাবের ১ কোটি ৭৫ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৪ টাকা মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান।
এ বিষয়ে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. জাহিদ কামাল সমকালকে বলেছেন, দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা অর্থ এই দম্পতি মানি লন্ডারিং করেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগের বিষয়ে কামরুন নাহার পলির মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
আনিছ-পলি দম্পতির বাড়ি চট্টগ্রামের চাঁদপুর নতুনপাড়া হাজী মহসিন রোডের 'আশ্রয়' ভবন। এ ছাড়া তাঁদের ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এ ব্লকের ১১ নম্বর রোডের ২৮৩ নম্বর বাড়িতে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। দুদকের আরেক মামলায় এ দম্পতি বর্তমানে পলাতক।