বিদেশি ক্রিকেটারদের কাছে বিপিএল বেশ সাড়া ফেলেছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশের এই টি২০ টুর্নামেন্টে বিশ্বের প্রায় সব দেশের তারকা ক্রিকেটাররাই খেলে গেছেন তখন। বিপিএলের জনপ্রিয়তা ছিল আইপিএলের পরই। গত দুই-তিন বছরে সে জৌলুস অনেকটাই হারিয়েছে বিসিবির দুর্বল নীতির কারণে।
এই সুযোগে পেছন থেকে রেসে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এবং ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)। বিপিএলের জন্য নতুন হুমকি হয়ে উঠতে পারে আরব আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট (আইএল টি২০)। টুর্নামেন্টের আয়োজনে নিরাপদ স্লট খুঁজে বের করাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা মেনে নিয়েই বিপিএলের স্লট ঠিক করতে চায় বিসিবি। বিশ্বকাপ ফুটবল এবং ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজের কারণে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মিলিয়েও বিপিএল করা সম্ভব নয়। তাই ২০২৩ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস টার্গেট করেই এগোতে চায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
বিসিবি বিপিএলকে পুরোনো ফরম্যাটে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব বিক্রি করা হবে তিন বছরের জন্য। তিন বছরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। সে ক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে বড় বাজেট নিয়ে মাঠে নামতে হবে। টুর্নামেন্টে ভালো মানের বিদেশি খেলাতে হলে বড় বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সঙ্গে সমন্বয় করে বিপিএল আয়োজন করতে হবে বলে জানান গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল। গতকাল সমকালকে তিনি বলেন, 'একসঙ্গে দুই-তিনটি টুর্নামেন্ট হলে বিদেশি ক্রিকেটার পেতে সমস্যা হবে।