বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইকোনমিক মেরিট অর্ডার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এতে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আর বাড়তি খরচ ঘুরেফিরে চাপবে ভোক্তার কাঁধেই।
ইকোনমিক মেরিট অর্ডার কী?
পিডিবির এক কর্মকর্তা জানান, যে কেন্দ্রের বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কম সেই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ প্রথমে গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। এভাবে দৈনিক চাহিদার ভিত্তিতে কম দাম থেকে বাড়তি দামের বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবির) অধীনস্থ লোড ডেসপাস সেন্টারকে (এনএলডিসি) প্রতিদিন সেভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদা দেয় পিডিবি। অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের বিষয় বিবেচনা করে এই আদেশ দেওয়া হয় বলে এটাকে ইকোনমিক মেরিট অর্ডার বলে।
পিডিবি বলছে, জোনভিত্তিক দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা এবং ওইসব এলাকায় কোনও কোনও বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনক্ষম আছে—সেই বিবেচনায় ইকোনমিক মেরিট অর্ডার তৈরি করা হয়। এনএলডিসি এই আদেশ মানতে বাধ্য। এটি পরিবর্তনের সুযোগও তাদের নেই।
সম্প্রতি মেরিট অর্ডার না মানার অভিযোগটি তুলেছেন দেশের জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত অধ্যাপক শামসুল আলম।