চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে যে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে, তা অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত নয়। মানবিক বিবেচনায় তো আলোচনা হওয়ারই কথা; এ আলোচনার অন্যান্য কারণও আছে। এখন পর্যন্ত আমরা জানি না, এ ঘটনা আসলে সব মিলে কত প্রাণ সংহার করেছে। আহত ব্যক্তিদের কতজন শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে জিতবেন, সেটাও জানা সম্ভব নয়। যাঁরা বেঁচে থাকবেন, তাঁদের কতজন পঙ্গু ও অসহায় হয়ে পড়বেন, তা অনুমান পর্যন্ত করা দুষ্কর। কিন্তু এই ভয়াবহ ঘটনা—যাকে গণমাধ্যম এবং প্রচলিত আলোচনায় ‘দুর্ঘটনা’ বলা হচ্ছে—তা আসলেই যে দুর্ঘটনা নয়, সেটাও অনেকেই স্মরণ করিয়ে দেবেন।
তবে এটা অস্বীকারের উপায় নেই, বিএম কনটেইনার ডিপোতে যে কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা আমাদের সবার জানা; এটাও আমাদের অজ্ঞাত নয়, এর দায় কার, কোথায়। পুরান ঢাকায় নিমতলীর রাসায়নিক কারখানা, লালবাগের প্লাস্টিক কারখানা, রূপগঞ্জ হাসেম ফুডসের কারখানা, বনানীর এফআর টাওয়ার কিংবা তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন অথবা রানা প্লাজা ভেঙে পড়ার মতো বড় ধরনের ঘটনার পাশাপাশি আরও অনেক ধরনের ‘দুর্ঘটনা’ থেকেই আমাদের জানার কথা।