অতিমারি পরিস্থিতিতে লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ অমান্য করে নিজের সরকারি বাসভবনে একাধিক পার্টি আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে এত সহজে রেহাই দিতে নারাজ দলের অন্দরে তাঁর বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে পার্লমেন্টে সোমবার আস্থা প্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হতে পারে তাঁকে।
জনসনের রক্ষণশীল দলের পার্লামেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘১৯২২ কমিটি’-র চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্যাডি সোমবার সকালে বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই ১৫ শতাংশের বেশি পার্লামেন্ট সদস্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চেয়েছেন। ফলে বিষয়টি এ বার পার্লামেন্টে যাবে।’’ প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ আইন অনুসারে, ক্ষমতাসীন দলের অন্তত ১৫ শতাংশ এমপি যদি তাঁদের দলীয় নেতা (অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী)-র বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন, তা হলে তা পার্লামেন্টে আলোচনার জন্য গ্রাহ্য হবে। সেই পরিস্থিতিতে গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
বরিস প্রথমে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লকডাউন পরিস্থিতিতে পার্টি আয়োজনের কথা অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে হওয়া একাধিক পার্টির ছবি ও বিশদ তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে তদন্তের ভারপ্রাপ্ত সু গ্রে কমিটির রিপোর্টে । ১৩ নভেম্বরের একটি চিঠিতে বরিসকে বিয়ারের গ্লাস হাতেও দেখা গিয়েছে।