দুর্ঘটনাবশত আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকের সঙ্গেই ঘটে। যদিও এমন ঘটনা মোটেও কারও কাম্য নয়। শরীরের পোড়া ক্ষত এর তীব্রতা দ্বারা অনুমান করা করে চিকিৎসকরা। যেমন- প্রথম ডিগ্রি পোড়াকে সবচেয়ে কম গুরুতর বলে মনে করা হয়, কারণ এতে শুধু ত্বকের বাইরের স্তর প্রভাবিত হয়। এক্ষেত্রে হালকা ব্যথা, লালভাব ও ফোলাভাবের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় ডিগ্রি পোড়া ত্বকের গভীর স্তর পর্যন্ত পৌঁছায়। ফলে ফোস্কা ও সাদা হয়ে যায় ত্বক।
আর তৃতীয়-ডিগ্রি পোড়া ত্বকের সব স্তরের ক্ষতি করে, যখন চতুর্থ-ডিগ্রি পোড়া হয় তখন জয়েন্ট ও হাড় পর্যন্ত পুড়ে যেতে পারে। তখন পোড়া রোগীকে বাঁচানো মুশকিল হয়ে ওঠে। চিকিৎসকরা তৃতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রী পোড়াকে চিকিৎসা জরুরি হিসাবে বিবেচনা করেন। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় ডিগ্রি অর্থাৎ ৩ ইঞ্চির কম ব্যাসের পোড়ার চিকিৎসা ঘরেও করা যায়। হালকা পোড়া সম্পূর্ণরূপে সারতে সাধারণত এক বা দুই সপ্তাহ সময় লাগে। এক্ষেত্রে ত্বকে তেমন দাগেরও সৃষ্টি হয় না। পোড়া চিকিৎসার লক্ষ্য হলো ব্যথা কমানো, সংক্রমণ প্রতিরোধ করা ও ত্বককে দ্রুত নিরাময় করা।