চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্ট মানবিক সংকটে সব পেশার লোকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহায়তা দিচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিস, সেনা, আনসারসহ সরকারি সকল বিভাগের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী নানা সংগঠন। এসেছেন শিক্ষার্থী, যুবকসহ নানা পেশার মানবিক মানুষগুলো। আহতদের উদ্ধার, হাসপাতালে আনাসহ সকল কাজে স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রশাসনকে সহযোগিতা দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী টিম। কিন্তু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেটসহ সকল সেবাস্থলে প্রয়োজনের অধিক স্বেচ্ছাসেবীর কারণে জটলা ও বিশৃঙ্খলায় অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে উৎসুক তরুণদের ছুটাছুটি সেবার চেয়ে বাড়িয়েছে বিড়ম্বনা।
রোগী নিয়ে আসা চন্দনাইশের আমির হামজা বলেন, সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি সত্যি হৃদয়বিদারক। এখানে আহতদের সেবায় এগিয়ে আসা বড় মানবিকতার পরিচয়। কিন্তু অতিসেবায় ভোগান্তি বাড়ছে। চমেকের ইমার্জেন্সি গেট সকাল থেকে স্বেচ্ছাসেবকে ঠাসা। একটা এলাকায় কতজন লোক দাঁড়ালে সেবাটা পারফেক্ট হবে সেটা নির্ণয় না করে অল্প জায়গায় কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবক দাঁড়ানোয় জটলার মতো হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ভাতিজাকে নিয়ে এসে জটলায় পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আমির হামজার কথার পর রাত ৮টার দিকে সেনাবাহিনী ও র্যাব এসে জরুরি বিভাগের সামনে ও আশপাশ এলাকায় অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের সরিয়ে দিলে ভোগান্তি কমে।