শাহাজাহান রাখেননি স্ত্রী রেশমিকে দেওয়া কথা। তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবেন বলেও ফেরেননি। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ট্রাকচালক শাহাজাহানের কলে রেশমির ফোনটি যখন বাজে তখন শনিবার রাত ৯টা। বলেছিলেন, 'আমার কাজ প্রায় শেষ, তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরব, বাজারসদাই কিছু লাগবে?' হয়তো শাহাজাহান বাজারে ঢুঁ-মারারও সুযোগ পাননি। তার আগেই ডিপোতে আগুন, ভয়াবহ বিস্ফোরণ। রাত শেষে ভোর, সকাল-দুপুর গড়িয়ে বিকেল, তারপরও শাহাজাহান ফেরেননি বাড়ি। অবুঝ দুই সন্তান নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চৌহদ্দি চষে রেশমির দু'চোখ খুঁজছে স্বামীর মুখ।
রেশমি বলেন, 'স্বামীর সঙ্গে কথা হওয়ার পরপরই ডিপোতে ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তখন থেকে শাহাজাহানের ফোন বন্ধ।' ফোন বন্ধ পেয়ে রাতেই স্বামীর খোঁজে দুই সন্তান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রেশমি। তাঁর এক সন্তানের বয়স ২, আরেকজনের ৫।