বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান ডেভিড ম্যালপাসের কপালের ভাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব মন্দার শঙ্কা; একই উদ্বেগের কথা বলতে শুরু করেছেন আরও অনেক অর্থনীতিবিদ। বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে কেমন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে? খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
অর্থনীতির সূচকগুলো এখন যে জায়গায় আছে, তাতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অতটা খারাপ বলে মনে করছেন না বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কেএএস মুরশিদ।
তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ তিনিও দেখছেন। তার ভাষায়, “বাংলাদেশ আন্তর্জতিক পরিস্থিতির ভিকটিম।”
বাংলাদেশ ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পরপরই মহামারী এসে হাজির। গত দুই বছরে অন্য সব দেশের মত বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। সেই ধাক্কা সামলে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু মহামারীর মতই কোনো পূর্বাভাস না দিয়ে ইউক্রেইনে যুদ্ধ লাগিয়ে দিল রাশিয়া। তাতে নতুন করে অস্থিরতা শুরু হল বিশ্ব বাণিজ্যে, বাংলাদেশের অর্থনীতির সাজানো ঘরও নড়ে উঠছে উপুর্যপরি দুই ঝড়ে।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে। মূল্যস্ফীতির হার পৌঁছেছে দেড় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তের সংসারে তেল-নুনের হিসাব মেলাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড চাপ পড়ছে।
মহামারীর ধাক্কা সামলে আমদানি বাড়ায় স্বস্তিই পাচ্ছিলেন অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে ডলারের দাম চড়তে থাকায় পণ্য আমদানিই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।