হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা গেছেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কেকে। শুরু থেকে এমনটাই ধারণা চিকিৎসকদের। যদিও পরে কেকের ঠোঁট ও কপালে আঘাতের চিহ্ন খুঁজে পান চিকিৎসকরা। এর পরই কলকাতার নিউ মার্কেট থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে। পাশাপাশি বুধবার করা হয় গায়কের মরদেহের ময়নাতদন্ত।
কী পাওয়া গেছে সেই রিপোর্টে? ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কেকের ফুসফুসে ইডিমা পাওয়া গেছে। শরীরের টিস্যুতে অতিরিক্ত ফ্লুইড জমা হয়ে গেলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাকে ইডিমা বলে। অর্থাৎ, ফুলে যাওয়া টিস্যুর ওপরে ত্বক উষ্ণ, নরম এবং টানটান হয়ে যায়। সাধারণত হাত এবং পায়ে ইডিমা হয়ে থাকে। তবে কেকের পাওয়া গেছে ফুসফুসে।
পাশাপাশি গায়কের মস্তিস্কের সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ারে হেমারেজ রয়েছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে কেকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন’। হার্ট অ্যাটাক বা হৃৎপেশীর রক্তাভাবজনিত মৃত্যু বা হৃদাঘাত হলো হৃৎপিণ্ডের ধমনীর রক্তপ্রবাহে বিভিন্ন কারণে অবরোধ হয়ে হৃৎপিণ্ডের দেয়ালের কোনো অংশের টিস্যুর মৃত্যু। একে ইংরেজিতে চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক পরিভাষায় ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন’ বলে।