অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনবে পদ্মা সেতু

যুগান্তর শ ম রেজাউল করিম প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২২, ০৮:৫৩

পদ্মা সেতু। বাংলাদেশ নামক এক ছোট্ট ব-দ্বীপ রাষ্ট্রের দূরদর্শী এক রাষ্ট্রনায়কের অসীম সাহসিকতা ও পর্বতসম আত্মবিশ্বাসের অবিশ্বাস্য এক রূপকথা। এ রাষ্ট্রনায়ক আর কেউ নন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের উত্তরসূরি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের ব্যূহ ভেদ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের সক্ষমতা আরও একবার চিনিয়েছেন বিশ্ববাসীকে। তাই পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয়, এটি আমাদের অনন্য গৌরব, মর্যাদা আর অহংকারের প্রতীক। দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণের অনবদ্য উপাখ্যান। মাথা না নোয়ানো বাংলাদেশের দিকে অবাক বিস্ময়ে বিশ্ববাসীর তাকিয়ে থাকার প্রোজ্জ্বল উপলক্ষ্য। এ সেতুর প্রতিটি পরতে পরতে বিম্বিত জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনার প্রত্যয় আর দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিষ্কার বক্তব্য, ‘দেশ স্বাধীন করেছি, পদ্মা সেতুর ব্যাপারে মাথানত করব না’ (পদ্মা সেতু, সম্পাদনা : মাহবুব রেজা)।


প্রশ্ন হচ্ছে, কেনই বা এতটা সুতীব্র আকাঙ্ক্ষা আর সবটুকু প্রত্যয় নিয়ে এ সেতু নির্মাণ করলেন এ দেশের জনসাধারণের স্বপ্নসারথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা? এর উত্তর খোঁজা মোটেই কঠিন নয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা যে এ দেশের মানুষের সুখ-দুঃখ আর ভালোবাসায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা ধ্রুপদী এক সঙ্গী। তিনি জানেন কীভাবে এ দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে, কীভাবে এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। তিনি জানেন কীভাবে একটি অঞ্চলকে গুরুত্বপূর্ণ জনপদে রূপান্তর করতে হবে। কীভাবে একটি জাতিকে আত্মমর্যাদায় শীর্ষে পৌঁছে দেওয়া যাবে। পদ্মা সেতুর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব ব্যাপক। একটি দেশের আঞ্চলিক উন্নয়নে অঞ্চলগুলোর জন্য একটি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা অনস্বীকার্য।


দেশের দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা বদলে দেওয়া এই সেতু (মূল সেতু ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, দুই প্রান্তের উড়ালপথ ৩ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। সব মিলে সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার) পদ্মা নদীর মাওয়া পয়েন্টে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং ফরিদপুর জেলাগুলোর উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি করবে। দেশের দক্ষিণে বসবাসরত জনজীবনের জীবনমান উন্নয়নসহ স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত ও বাজার সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। এ অঞ্চলের উৎপাদিত কাঁচামাল দ্রুততার সঙ্গে সরবরাহের সুযোগ তৈরি ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এ সেতু। সেতুটির কারণে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা চট্টগ্রাম বন্দরের মতো যথাযথভাবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আরেকটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, পদ্মা সেতু ও সংযোগ সড়ক এশিয়ান হাইওয়ে রুট এএইচ-১-এর অংশ হওয়ায় তা যথাযথ ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us