মৌলবাদ, ধর্মান্ধতা ও সহিংসতা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ ছিল তাঁর। শিক্ষা, রাজনৈতিক অনুশীলন ও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার কথা বলেছেন তিনি। ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি
কিংবদন্তিতুল্য লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর সঙ্গে আমার বয়সের বেশ কিছুটা ব্যবধান থাকলেও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠতা ছিল অকৃত্রিম। অনেকটা অবিমিশ্র বলা যায়।
সেটা সম্ভব হয়েছে তাঁর উদার মনমানসিকতার কারণে। তিনি অনেকটাই বাম ধারার রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করতেন। সেখানে কোনো সংস্কারকাজ করেনি। আমরা যখন স্বাধীনতার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ পেরিয়ে সাংবাদিকতার জগতে প্রবেশ করি, কলামিস্ট হিসেবে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর সুনাম কিংবা প্রভাব-প্রতিপত্তি তখনই মধ্যগগনে। অথচ ঢাকা প্রেস ক্লাবের সরব আড্ডায় আমাদের মতো নবাগত কিংবা তরুণদের কাছে টেনে নিতে তাঁর দেরি হতো না। সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতায় কিংবা পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা ও লন্ডনে তাঁর সঙ্গে ক্রমে ক্রমে একটা ভ্রাতৃসুলভ সখ্য গড়ে ওঠে। সেটাকে বন্ধুত্ব না বলে ঘনিষ্ঠতাও বলা যায়।