প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরির বাজারে ঢোকার জন্য হন্যে হয়ে উঠেছে মানুষ। বলা বাহুল্য, সঠিকভাবে দেশ পরিচালনার জন্য বিসিএস চাকরিতে মেধাবীদের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ খুব দরকার। তবে বর্তমানে যে দুর্দমনীয় আগ্রহ-উদ্দীপনা চলছে, তা জাতির জন্য মোটেও সুখকর নয়।
মনে রাখতে হবে, আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ। আগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শুধু প্রশাসক নয়; দরকার মেধাবী বিজ্ঞানী, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার। বিসিএস বা প্রশাসনিক চাকরি নিয়ে কিছুটা নেতিবাচক কথা কারও কারও গাত্রদাহের কারণ হতে পারে। কেউ কেউ মনে করতে পারে-আঙুর ফল টক।
কিন্তু দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তো একই কথা বলছেন। শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিসিএস বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হোক। সেখানে ‘প্রিলিমিনারি পরীক্ষা’, ‘ভাইভা’ ইত্যাদি নামে বিভাগ থাকবে। দারুণ চলবে কিন্তু।’