আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে তাজ়িকিস্তানে আয়োজিত সাত দেশের আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৈঠকে স্বর তুলল ভারত। ওই বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল শুক্রবার বলেন, ‘‘ভারত বরাবরই আফগানিস্তানের জনতার পাশে রয়েছে। সুরক্ষা এবং সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে তাঁদের সর্বতো ভাবে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত।’’ তাঁর কথায়, “আফগানিস্তানের মানুষের সঙ্গে আমাদের যে শতাব্দীপ্রাচীন বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, তা কোনও দিনও কেউ বদলাতে পারবে না।” আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে চতুর্থতম এই আঞ্চলিক সম্মেলনটিতে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়া এবং চিনের পাশাপাশি ইরান, তাজ়িকিস্তান, উজ়বেকিস্তান, কাজ়াখস্তান এবং কিরঘিজ়স্তানের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্তারা। ডোভালের কথায়, “যাঁরা এই আলোচনায় উপস্থিত রইলেন, তাঁদের প্রত্যেকের উচিত সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে দমনে আফগানিস্তানের হাত শক্ত করা।
”অন্য দিকে তালিবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান সুহেল শাহিন ভারত-সহ পশ্চিম বিশ্বকে বার্তা দিয়ে বলেছেন, তাঁরা দোহা চুক্তি মান্য করে আফগানিস্তানের মাটিকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসপাচারের জন্য ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না। কোনও সমস্যা থাকলে, আলোচনার মাধ্যমেই তার সমাধানে উৎসাহী তালিবান। তাঁর কথায়, “আমরা চাই আফগানিস্তান বাণিজ্যের কেন্দ্র হয়ে উঠুক। তাই সবার সহযোগিতা চাই। এ বার তাতে সাড়া দেওয়ার দায় অন্যদের। চাপ বাড়ানোর কৌশল আফগানিস্তানের সঙ্গে কখনও খাটেনি।”কূটনৈতিক সূত্রের মতে, তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্ন নেই। কিন্তু আফগানিস্তান প্রশ্নে একঘরে হয়ে থাকাটাও নয়াদিল্লির জন্য স্বস্তির নয়। বিশেষ করে যেখানে প্রভাব বাড়াচ্ছে পাকিস্তান। সে দেশে বহু অর্ধসমাপ্ত ও চলতি প্রকল্প রয়েছে ভারতের। রয়েছে বিপুল বিনিয়োগও।