গৃহবধূ রাবেয়া বেগমের বাড়ির নলকূপের পানিতে অতিমাত্রায় আর্সেনিক পাওয়া গেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্বেচ্ছাসেবকেরা নলকূপটিতে লাল রং দিয়ে চিহ্ন দিয়েছেন। কিন্তু বিকল্প পানির উৎস না থাকায় ওই নলকূপের পানি পান করতে হচ্ছে পরিবারটিকে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের সুজন দোয়াল গ্রামে রাবেয়া বেগমের বাড়ি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে নলকূপের পানি ব্যবহার করছি। এখনো তেমন কোনো সমস্যায় পড়িনি। কয়েক দিন আগে পানি পরীক্ষা করা হয়েছে। পানিতে উচ্চমাত্রায় আর্সেনিক রয়েছে, এমন কথা বলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মীরা লাল রং লাগিয়ে দিয়েছেন। পানি পাওয়ার অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ওই পানিই সাংসারিক কাজে ব্যবহার করছি। এখন কিছুটা ভয় লাগছে।’
শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। স্থানীয় পর্যায়ে পরীক্ষায় অন্তত ২ হাজার ৫০০ নলকূপে উচ্চমাত্রার আর্সেনিক থাকার তথ্য পেয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। আর্সেনিক রয়েছে, এমন নলকূপ লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।