অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন হাজি সেলিম। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তাঁর ১০ বছরের সাজা খাটতে হবে। এ মামলায় ১৩ বছর আগে বিচারিক আদালতের রায়ের পর তাঁকে মাসখানেক কারাগারে থাকতে হয়েছিল। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিনে বের হন তিনি। মাঝের এ সময় তিনি দুবার সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন। এখন সেই সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না আসলে। যদিও দণ্ড মাথায় নিয়ে অতি গোপনেই বিদেশে ‘পালিয়ে গিয়ে’ দেশজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ফিরেও এলেন, সেটি যদিও স্বেচ্ছায় নাকি বাধ্য হয়ে, বলাটা মুশকিল। গত রোববার আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। সরকারি দলের সংসদ সদস্য হয়ে সাজা খাটতে জেলে যাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির জন্য কল্পনাতীতই বলা যায়।
এখন কি হাজি সেলিম ১০ বছর জেলে কাটাবেন? সেটির উত্তর পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। হাইকোর্টের পর আপিল বিভাগ, এরপর আপিলের রিভিউ; সেখানেও যদি ঠেকে যান, মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আবেদন তো আছেই। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্টের আদেশের মাধ্যমে সাজা বাতিল করতেও সক্ষম হয়েছিলেন হাজি সেলিম। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাল্টা আপিলের ফলে সেই সাজা বহাল করেন হাইকোর্ট। অনেকে অবাকই হতে পারেন, দুদক কবে এমন ‘নাছোড়বান্দা’ হলো! যা-ই হোক, আত্মসমর্পণের পর পরবর্তী আইনি মোকদ্দমার প্রক্রিয়া চলাকালীন হাজি সেলিম আসলে কোথায় থাকবেন, সেই প্রশ্নও ওঠে। তবে এক দিনের ভেতরে সেটির উত্তর পাওয়া গেল।