আমেরিকা: যে দেশে মানুষের চেয়ে বন্দুক বেশি!

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২২, ১৭:২৫

আমেরিকানরা এখন আর বন্দুকধারীর গুলিতে মানুষ হত্যার খবর শুনে চমকে ওঠে না। অনেকটা তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে এটি। ঘরে-বাইরে, উপাসনালয়ে, স্কুলে, নাইটক্লাবে, বারে কিংবা বড় কোনো উৎসবে একের পর এক বন্দুক হামলায় সাধারণ নাগরিক নিহতের খবর মার্কিনিদের অসাড়-অনুভূতিহীন করে তুলেছে। ২০১৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ইসলা ভিস্তাতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের ঘটনার পর দ্য ওনিয়ন লিখেছিল, 'এটা প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই এবং আমেরিকাই একমাত্র দেশ যেখানে রুটিনমাফিক প্রতিনিয়ত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটছে!'


কিন্তু সত্যিই কি এই নির্বিচারে হতাকাণ্ড প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই? কারণ ২০২২ সালের এসেও আমেরিকাবাসীকে দেখতে হচ্ছে সেই একই চিত্র। গতকাল ২৪ মে (মঙ্গলবার) যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ঘটে গেছে এক নির্মম হত্যাকাণ্ড। উভালদে এলাকার রব এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছে ১৯ শিশুসহ ২১ জন। সালভাদর রামোস নামের ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ একটি এআর-১৫ রাইফেলের সাহায্যে এই হত্যাকাণ্ড চালায়। 'এডউইক' নামক শিক্ষা গবেষণার তথ্যানুযায়ী, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ২৬টি। ফলে দেশের নীতিনির্ধারকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ তো পড়েছেই, সাথে জনমনে আতঙ্কও বেড়েছে।


তবে বাস্তবতা বলছে, দ্য ওনিয়ন আসলে সত্যি কথাই বলেছে। আমেরিকাই 'একমাত্র দেশ' যেখানে বন্দুক হামলা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। তাছাড়া, ধনী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের সংখ্যায়ও আমেরিকাই শীর্ষস্থানে। শুধু অন্যের গুলিতেই নয়, নিজেরা নিজেদের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আত্মহত্যার দিক থেকে বিশ্ব র্যাং কিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগে শুধু গ্রিনল্যান্ডের অবস্থান। আত্মহত্যার বিষয়টি বাদে, ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনা ও সহিংসতা মিলিয়ে অস্ত্রের গুলিতে নিহতের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ২৮তম। কিন্তু আত্মহত্যার হিসাব বাদেও, ইউরোপ ও এশিয়ার প্রায় সব দেশের চাইতে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের গুলিতে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক গুণ বেশি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us