নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে তরুণীকে হেনস্তার ঘটনার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও হেনস্তাকারী নারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ওই নারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণীকে পোশাক নিয়ে গালিগালাজ, মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন এবং মুঠোফোনে ছবি তুলেন। রেলওয়ে পুলিশের ভাষ্য, ওই নারীকে শনাক্ত ও চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বারবার স্থান ও মুঠোফোন নম্বর পরিবর্তন করছেন। দ্রুতই তিনি আইনের আওতায় আসবেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, তরুণীকে হেনস্তা করা ওই নারীর নাম শিলা আক্তার ওরফে সায়মা (৪৫)। তিনি শহরের উপজেলা মোড়ের ভাড়াটিয়া ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি ফয়েজ আহমেদকে বিয়ে করেন। স্থানীয়ভাবে ওই নারী একজন ঘটক হিসেবে পরিচিত। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই নারীকে শনাক্ত করা হয়। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ ও দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে তিনি বাসা ছেড়ে চলে যান।