সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পশ্চিমা জনগণের মনোজগৎ যে প্রশ্নে আচ্ছন্ন হয়ে আছে তা হলো, ‘পুতিনের মনে আসলে কী আছে?’ পশ্চিমা পণ্ডিতেরা খুব বিস্মিত হয়ে পড়েছেন এই ভেবে যে, ‘পুতিনের আশপাশের লোকজন কি তাঁকে পুরো সত্যটা জানাচ্ছে না? পুতিন কি তবে অসুস্থ নাকি উন্মাদ হয়ে গেছেন? আমরা কি পুতিনকে কোণঠাসা করতে করতে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাতে পারি না, যেখানে চলমান সংঘাতকে একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে নিজের মুখরক্ষা করাটাই তাঁর একমাত্র পথ হবে?’
সুস্পষ্ট সীমারেখা আঁকার এ ধরনের মোহাচ্ছন্ন চিন্তার ইতি টানতে হবে। এই সীমারেখা আঁকাটা বস্তুগত বাস্তবতা নয়। পুতিন সব সময় নিজের ছক নতুন করে আঁকছেন। রাশিয়ার কর্মকাণ্ড নিয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া নতুন ছক আঁকতে তাঁকে সহযোগিতা করছে। আমরা এখন প্রশ্ন তুলছি, ‘ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কি সীমা লঙ্ঘন করেনি?’—এমন প্রশ্ন তোলার মাধ্যমে মূল প্রশ্নটিকেই হাওয়া করে দেওয়া হচ্ছে। মূল সত্যটি হলো, রাশিয়া সীমান্ত লঙ্ঘন করে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুতিন ‘অদমনীয় অশুভ শক্তি’ এমন একটা উপলব্ধিতে পৌঁছানোর আগে পশ্চিমাদের অবশ্যই নিজেদের দিকে ফিরে তাকাতে হবে। আমাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করতে হবে, ‘আমরা মুক্ত পশ্চিম—এ বিষয়ে আসলে কী চাইছি?’