উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মাথাপিছু আয়, জিডিপি, আর্থ-সামাজিক সূচক, করোনা মহামারি ব্যবস্থাপনা, প্রভৃতি ক্ষেত্রে দেশে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। এর পাশাপাশি বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। ফলে আমাদের দেশের সাধারণ জনগণের সীমিত আয় দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া, আয়ের উৎসগুলো আরও সংকুচিত হওয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের ভাবনা একটি গম্ভীর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাড়তি একটু আয়ের আশায় সীমিত আয়ের মানুষেরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থের কিছু অংশ সঞ্চিত করে বিভিন্ন প্রকার আর্থিক খাতে বিনিয়োগ করেন, যাতে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, বাড়িভাড়া, সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে না হয়।
এই কারণেই বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত চাকরিজীবী, নারী, বয়স্ক নাগরিক এবং অবসরে যাওয়া ব্যক্তিবর্গের একটি বড় অংশ তাদের পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের উৎস হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
তবে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার উপর উৎসে বিদ্যমান ১০ শতাংশ করের হার এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সঞ্চয়পত্রের উপর প্রায় ২ শতাংশ হারে সুদ হ্রাসের কারণে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ থেকে আয়ও ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছে।