নিষিদ্ধ নয় তবু নিষেধ থাকে

দেশ রূপান্তর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২২, ০৯:৩৬

সাহিত্যের কথা বলি, কী বলি রাজনীতির কথা, কৃষকের উপস্থিতি কোথাও নিষিদ্ধ নয়, তবু একটা নিষেধ থাকে। অলিখিত। নিষেধটা শ্রেণির। কৃষক সাহিত্য সৃষ্টি করে না, রাজনীতিও তার নিয়ন্ত্রণে থাকে না; সাহিত্যে যেমন, রাজনীতিতেও তেমনি, কর্তৃত্ব অকৃষকদের। এরা কৃষকদের জানে, তার দুঃখে সহানুভূতি জানায়, আর পক্ষে কথাও বলে, কিন্তু কৃষকের জন্য যে জায়গা করে দেবে তা পারে না। নিষেধ আসে বিচ্ছিন্নতা ও দূরবর্তিতা থেকে; দুর্লঙ্ঘ্য হয়ে দাঁড়ায় স্বার্থের পাহারাদারি। কৃষক ও অকৃষকদের স্বার্থ দেখা যায় পরস্পরবিরোধী।


আধুনিক বাংলা সাহিত্যে কৃষকের দুঃখের সংক্ষিপ্ত কিন্তু মর্মস্পর্শী বিবরণ আছে বঙ্কিমচন্দ্রের লেখায়। কৃষক তার উপন্যাসে নায়ক হবে এটা সম্ভব ছিল না। নায়ক জমিদাররাই, এবং জমিদারদের জীবনযাপনে কৃষক প্রান্তবর্তী বটে, বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসেও সেট সত্য। কিন্তু প্রবন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র বঙ্গদেশের কৃষকদের দুর্দশায় অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত। সেই দুর্দশার খরালোকে তার প্রবন্ধে জমিদারদের বিলাসবাহুল্য নিতান্ত কুৎসিত ঠেকে। শ্রেণিবিভাজনের বিষয়টা বঙ্কিমচন্দ্র অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে জানতেন। জমিদার যে কৃষকের শত্রু প্রবন্ধে তিনি তা অত্যন্ত পরিষ্কার করে বলেছেন। জমিদারি ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করেছে ১৭৯৩ সালের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত এবং সে-ব্যবস্থাই বঙ্গদেশের কৃষকের সর্বনাশের জন্য দায়ী। এ সত্য অত্যন্ত পরিচ্ছন্নরূপে তার লেখায় উপস্থিত। এই সূর্যের চারপাশেই অন্যসব গ্রহ-উপগ্রহের ঘূর্ণিবাজি, জানিয়েছেন তিনি। তবু ‘বঙ্গদেশের কৃষক’ প্রবন্ধের উপসংহারে এসে তিনি লিখেছেন, ‘যে ভ্রম ঘটিয়াছিল এক্ষণে তাহার সংশোধন সম্ভব না। সেই ভ্রান্তির উপর আধুনিক বঙ্গসমাজ নির্মিত হইয়াছে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ধ্বংসে বঙ্গসমাজে ঘোরতর বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হইবার সম্ভাবনা। আমরা সামাজিক বিপ্লবের অনুমোদক নহি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us