ভাত ছাড়া সারা দিন আমরা যা যা খাই, তাতে গমের তৈরি খাবারই বেশি। সকালের নাশতায় রুটি-পরোটা, দুপুর-বিকেলে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, বাসা বা রেস্তোরাঁয় নানা বৈচিত্র্যময় খাবারে মিশে আছে গম। আর উচ্চবিত্ত হলে ভাতের বদলে থাকতে পারে একবেলা রুটি। দুই দশক আগেও গমের রুটি ছিল গরিবের খাবার। রেশনের পণ্য হিসেবে পরিচিত গম এখন কেন সব শ্রেণির মানুষের খাদ্যাভ্যাসে জড়িয়ে গেল?
বয়সের কোটা যাঁদের চার-পাঁচ দশক পেরিয়ে গেছে, তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী, গমের আটা একসময় ছিল গরিবের খাদ্যতালিকায়। সরকারি রেশন, ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি, কাজের বিনিময়ে খাদ্য—নানা কর্মসূচিতে ছিল শুধু গম আর গম। গ্রামে গ্রামে ছোট ছোট মেশিনে গম ভেঙে আটা তৈরি হতো। সকালের নাশতায় লাল আটার রুটি দিয়ে লাল চা ছিল গরিবের খাদ্যতালিকায়। চাহিদা বেশি ছিল না বলে আমদানিও হতো কম। দেশীয় উৎপাদন আর অনুদানের গম—দুইয়ে মিলে মিটে যেত চাহিদা। আমদানি বলতে ছিল সরকারি খাতে।