সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হতেই উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নেত্রকোনা ও হবিগঞ্জে বন্যা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিলেট অঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। দুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে ত্রাণের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেছে। সরকারিভাবে ত্রাণ দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বন্যাকবলিত এলাকায় শুকনা খাবারের পাশাপাশি পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন প্রভৃতি প্রাণরক্ষা-সহায়ক উপাদানের পর্যাপ্ত সরবরাহ যতদিন প্রয়োজন অব্যাহত রাখা উচিত। সরকারি ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি প্রয়োজন বেসরকারি উদ্যোগও।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ পাঠানো এবং তাদের পুনর্বাসনের বিকল্প নেই। এমনিতেই করোনার কারণে বহু মানুষের আয়-রোজগারের পথ হয়ে গেছে বন্ধ, তার ওপর বন্যার কারণে অনেকের বাসস্থান, কৃষিক্ষেত্র, মাছের ঘের ও গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের পাশাপাশি এনজিওগুলোরও উচিত দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো। জানা যায়, বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে ঝুঁকি নিয়েই অনেকে দূষিত পানি পান করছেন। এতে পানিবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা রয়েছে। অনেক এলাকার নলকূপ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যাকবলিত এলাকায় শৌচাগার সমস্যায় মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন অনেকে। কাজ না থাকায় কষ্টে আছেন দিনমজুররা।