গাফ্ফার ভাইয়ের একটা লেখা আসলেই আমার নামে পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। ১৯৭৪ সালের সেই ঘটনার জন্য আমার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ কেমন করে ঘটল, তা-ই প্রথমে বলা দরকার।
এই লেখার পরিকল্পনা করেছিলাম গত গ্রীষ্মে। যেদিন বিবিসির সাবেক সহকর্মী কামাল আহমেদের কাছ থেকে গাফ্ফার ভাই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার খবর পাই। সেদিনই কেমব্রিজে বিলেতে বসবাসকারী পশ্চিম বাংলার বাঙালিদের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর এক অনুষ্ঠানে গাফ্ফার ভাইকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। কাকতালীয়ভাবে একই মঞ্চ থেকে আমার নামও ঘোষণা করা হয়েছিল। কামাল আহমেদ গাফ্ফার ভাইয়ের একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
গাফ্ফার ভাই এবং এরশাদ মজুমদার আমার সাংবাদিকতা জীবনের দুই প্রধান চরিত্র। স্বাধীনতার পর জেল হত্যাকাণ্ডে নিহত চার নেতার একজন, এ এইচ এম কামারুজ্জামানের পৃষ্ঠপোষকতায় গাফ্ফার ভাইয়ের সম্পাদনায় দৈনিক জনপদ প্রকাশিত হয়েছিল। সেই কাগজেই বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার হিসেবে আমার শিক্ষানবিশি শুরু হয়েছিল। এরশাদ মজুমদার ছিলেন কাগজটির প্রধান প্রতিবেদক, আমি যাঁর অধীনস্থ ছিলাম।