ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে চলতি মৌসুমে যে পরিমাণ গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল স্থানীয় সরকার, তার চেয়ে ১২ থেকে ১৩ লাখ টন কম পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরে বেশি দামে বিক্রির আশায় এসব গম মজুত করেছেন কৃষকরা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। পাঞ্জাবের খাদ্য ও সরবরাহ সচিব গুরকিরাত কিরপাল সিং বলেছেন, চলতি রবি মৌসুমে রাষ্ট্রীয় সংস্থা, ফুড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া (এফসিআই) এবং বেসরকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে গম সংগ্রহের ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৩ লাখ টনের ব্যবধান রয়েছে। বলা হচ্ছে, এর কিছু অংশ সরাসরি কৃষকদের থেকে কিনে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি রাজ্যের খাদ্য সচিব। তিনি আশা করছেন, কৃষকরা শিগগির তাদের ফসল বিক্রি করে দেবেন।
তা নাহলে সরকারের সংগ্রহ কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে বা পরে দাম কমে গেলে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। স্থানীয় কমিশন এজেন্টরা জানিয়েছেন, যেসব কৃষকের বিকল্প আয়ের উৎস রয়েছে, এবারের মৌসুমে তাদের অনেকেই সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে গম বিক্রি করেননি। এ ধরনের এজেন্টদের একটি সংগঠনের প্রধান রবিন্দর সিং চিমা বলেন, যেসব কৃষকের সামর্থ্য রয়েছে, তারা তাদের উৎপাদিত শস্য আটকে রেখেছেন, পরে দাম বাড়লে বিক্রি করবেন বলে। আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত ১০ কৃষকের মধ্যে গড়ে নয়জন তাদের ফসল নিয়ে এসেছেন, বাকিরা আটকে রেখেছেন।