বেশ বড় একটা সময় ধরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখা সাধারণ মানুষের টাকায় একটা মানুষের সাম্রাজ্য ফুলেফেঁপে ওঠা এবং তার বেআইনি কাজ কারবার রমরমিয়ে চলতে থাকা সত্ত্বেও তা কেন কোনও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের চোখে পড়লো না? এমন একটা প্রশ্ন সর্বত্র, কিন্তু জানি এর উত্তর সহজে পাওয়া যাবে না, কারণ এখানে যাদের নজরদারি করার কথা তাদের জবাবদিহি নেই কোথাও। লোকটা দোর্দণ্ড প্রতাপে আর্থিক খাতকে উলটপালট করেছে এবং সেটা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চোখের সামনেই। গণমাধ্যমে খবর আসার পর দুদকের টনক নড়ে এবং রেড অ্যালার্ট জারির আগেই তিনি হাওয়া হয়ে গেলেন। তিনি দেশের বাইরে চলে গেলেন বা তাকে নিরাপদে চলে যেতে দেওয়া হয়েছে।
বলছিলাম পি কে হালদারের কথা। বাংলাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের দায়ে অভিযুক্ত এই প্রশান্ত কুমার হালদার, যিনি পি কে হালদার নামে বেশি পরিচিত, তার পাঁচ সহযোগীসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন। বিষয়টাকে দু’ভাবে দেখা যায়, যেমন- একটা ব্যাংক দখলদার, আর্থিক খাতের দুর্বৃত্ত শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছে। কিন্তু চিন্তার বিষয় এই যে অপরাধীকে নিজের দেশে ধরা গেলো না এবং এটার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে বড় চোরেরা পালিয়ে যেতে সক্ষম।