আফগানিস্তানে তালেবান সরকার তাদের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিধিবিধান কার্যকর করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তারা যেটিকে ঠিক মনে করছে, তারা সেটিই করছে। তাদের দেশ শাসনের সক্ষমতা, জননিরাপত্তার হুমকি মোকাবিলা এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রথম থেকেই যে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিল, তাদের জবাবদিহিহীন কঠোর শাসনপদ্ধতি এবং নারীশিক্ষা ও পর্দাসম্পর্কিত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন সেই সন্দেহকে বৈধতা দিচ্ছে।
আফগানিস্তান দখলের ৯ মাস পরে তালেবান সম্ভবত বুঝতে পেরেছে, শিগগিরই তাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। যে আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য তারা বছরের পর বছর ধরে লড়াই করেছে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সেই আদর্শের বিষয়ে এখনো ছাড় দিচ্ছে বলে তাদের মধ্যে নিদারুণ হতাশাও কাজ করছে। স্পষ্টতই নিজ দর্শন পরিবর্তন করার এবং সাধারণ আধুনিক রাজনৈতিক নেতাদের মতো দেশ চালানোর কোনো অভিপ্রায় তালেবানের নেই। এখন তারা ধীরে ধীরে তাদের আসল অ্যাজেন্ডাগুলো বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে। এটি তারা হয় রাজনৈতিক চাল হিসেবে, নয়তো আদর্শিক বিশ্বাস বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে করছে।