ড্রাগন ফল চাষ করে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ড্রাগন প্রিন্স নামে। আসল নাম ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। ডক্টরেট ডিগ্রিধারী এই ব্যক্তি বর্তমানে আলোচনায় এসেছেন ফেসবুকে নিজের একটি ছবি ভাইরাল হওয়ার পর। ছবিতে দেখা যায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নে বাবুলের বাজারে নিজের খামারে উৎপাদিত কচুর লতি বিক্রি করছেন তিনি। ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্সকে নিয়ে মানুষের মনে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়েছে—একজন ডক্টরেট ডিগ্রিধারী ব্যক্তি কেন, কীভাবে অজপাড়াগাঁয়ে গিয়ে কৃষিকাজ নিয়ে আছেন? দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের পক্ষ থেকে হোসাইন শহীদ মুখোমুখি হয়েছিলেন ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্সের।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনাকে নিয়ে ব্যাপক আলেচানা হচ্ছে, আপনি জানেন?
আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স: বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত। একটা ছবিটি এরকম আলোড়ন ফেলবে আমি বুঝতে পারিনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসছে। অনেকেই জানতে চাচ্ছে আমি কী করি, আমার খামারে কী কী পাওয়া যায়। নানান কথা মানুষ জানতে চাচ্ছে। সবার সাথেই প্রায় একই রকম কথা বলতে হচ্ছে আমাকে। আসলে সেদিন আমার খামারের জন্য কিছু বাজার করার কথা। এমন সময় আমাকে বাজারের কথা বলা হয়েছিল যখন হাতে টাকা ছিল না। ঠিক করি কচুর লতি বিক্রি করে সন্ধ্যায় বাজার করব। যে লোক আমার এই লতি বিক্রির কাজ করে দেয় সে কাজে আসেনি। সন্ধ্যার পর বাজার করতেই হবে তাই কচুর লতি নিয়ে বাজারে যাই। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে খামারের জন্য বাজার করে ফিরেছি। এরমধ্যেই অনেকে আমার ছবি তুলেছে। খামারে ফিরে দুই ঘণ্টা পর দেখি ফেসবুকে ছবি। এটা তো আমার নিত্যনৈমেত্তিক কাজ। আমি অবাক হয়েছি মানুষ ছবি শেয়ার করছে দেখে।