ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের আকাশচুম্বী দামের পর এবার 'ঝাঁজ' বাড়ছে আমদানীকৃত রসুনেরও। দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কয়েক দিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ২০ টাকা। কয়েক দিন আগেও পাইকারি এই মোকামে চীন থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। কিন্তু এখন প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৮ টাকায়।
সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) বন্ধ করায় পণ্যটির দাম বেড়েছে। তবে রসুন আমদানিতে আইপি বন্ধ না করার পরও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে দাম। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সরবরাহ সংকট ও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়াকে দুষছেন ব্যবসায়ীসহ সংশ্নিষ্টরা। তবে সঠিক চিত্র উদ্ঘাটন করতে মনিটরিং জোরদারের দাবি ক্যাবসহ ভুক্তভোগীদের। ট্যারিফ কমিশন ও টিসিবির তথ্যমতে, দেশে রসুন আমদানির ৯৬ শতাংশই চীন থেকে আসে।
স্বাভাবিক সময়ে খাতুনগঞ্জের প্রায় প্রতিটি আড়তের সামনে ও ভেতরে পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানি করা রসুন বিক্রির জন্য সারি সারি বস্তায় রাখা হয়। তবে সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় অনেক আড়তে নেই পর্যাপ্ত আমদানি করা রসুন।