নুসরাত ইমরোজ তিশা, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও পরীমনিদের ভ্রমণ অনবদ্য। বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনে তাঁদের পথচলা নানা কারণে আলোচিত। একদিকে তাঁদের অভিনয় যেমন স্পর্শ করত দর্শকের মন, অন্যদিকে তাঁদের নিয়ে নানা রকম আলোচনাও কম হয়নি। আজ যেন একটা গড়ন পেয়েছে এ তিন আলোচিত অভিনেত্রীর জীবন ও ক্যারিয়ার। গত রোববার মা দিবসে প্রকাশিত তিনটি ছবি সে কথাই জানান দিচ্ছে। এক ছবিতে চার মাসের মেয়েকে কোলে নিয়ে কাজে যাচ্ছেন তিশা, একটিতে নবজাতক কোলে তার মায়ের ভূমিকায় মিথিলা ও আরেকটিতে সাগরতীরে পরীমনির গর্ভাবস্থার ছবি।
এই তো সেদিন, ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অভিনয় করতেন তরুণ বয়সের সঙ্গে মানানসই সব চরিত্রে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনো তরুণের প্রেমিকার ভূমিকায়। তাঁর অভিনয় প্রশংসা পেয়েছে প্রায় সব বয়সী নাট্যপ্রেমী দর্শকের কাছে। পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে বিয়ে করার মধ্য দিয়ে অভিনয়ের বাইরে প্রথম আলোচনায় আসেন তিশা। এরপর যতই দিন গড়াতে থাকে, ভক্ত ও নিন্দুকদের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে—দুই থেকে কবে তিন হবেন দুজন। কাঁটা বিছানো সেই প্রশ্নসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে অভিনেত্রী–পরিচালক দম্পতি করে ফেললেন ডুব, শনিবার বিকেল, নো ল্যান্ডস ম্যান–এর মতো উৎসাহজাগানো সিনেমা। যদিও শেষ ছবি দুটি এখনো বাংলাদেশে মুক্তি পায়নি। এরই মধ্যে হঠাৎ তিশার ডাক পড়ে অন্য রকম এক চরিত্রে, কাঁধে এসে পড়ে গুরুদায়িত্ব। তিশা হয়ে যান রেণু, পর্দার বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত পরিচালক শ্যাম বেনেগালের মুজিব: একটি জাতির রূপকার ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীচিত্রে তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য এক টাকা সম্মানী নেওয়ার ঘোষণায় আবারও চমৎকৃত হন তিশার ভক্তরা। তারপর তিশা দিলেন সর্বশেষ সুসংবাদ, মেয়ের মা হয়েছেন তিনি। মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ করে গত রোববার থেকে কাজেও ফিরেছেন তিনি।