চার মাসের সূর্য। ১২০ দিনের শিশুটির তুলতুলে দেহখানা সইতে পারছে না অ্যাসিড যাতনার ধকল। থুতনির নিচের অংশ বাদে ছোট্ট মুখাবয়বের পুরোটাই অ্যাসিডের বিষে পোড়া। ছোড়া অ্যাসিড থেকে বাদ যায়নি সূর্যের মায়াবী চোখ জোড়াও। ডান চোখটা খুইয়েছে দৃষ্টি ফেলার শক্তি; বাঁ চোখের পাতা মেলে মাঝেমধ্যে নিষ্ঠুর পৃথিবীর আলো খুঁজছে অবুঝ শিশুটা।
দুই হাতের কনুইয়ের নিচের অংশেও পোড়া ক্ষত সাদা ব্যান্ডেজে ঢাকা। মুখের ভেতর আর মাথার সামনের অংশও পুড়েছে অনেকখানি। শরীরের পোড়া চামড়ার কোন অংশে যন্ত্রণার তীব্রতা বেশি, তা বোঝানোর ক্ষমতা কিংবা বয়স কোনোটিই হয়নি তার। কেবল হাসপাতালের বিছানায় কাঁদতে কাঁদতে জানান দিচ্ছে- কষ্ট কাকে বলে!