১৯০৮ সাল। শান্তিনিকেতনে বর্ষা উৎসবের পর রবীন্দ্রনাথ শরৎকালকে আহ্বান করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে ক্ষিতিমোহন সেন লিখেছিলেন, ‘বর্ষা গেল, খুব ভালো করিয়া শারদোৎসব করিবার জন্য কবি উৎসুক হইলেন। আমাদিগকে বলিলেন, বেদ হইতে ভালো শারদ শোভার বর্ণনা খুঁজিয়া বাহির করিতে।’ এরপর ক্ষিতিমোহন সংস্কৃত সাহিত্যের নানা স্থানে খোঁজ করলেন।
এদিকে কবিও লেগে গেলেন শরৎকালের উপযুক্ত সব গান রচনা করতে। একে একে সেবার অনেক গান রচনা করা হলো। সেই সময় কবির মনে হয়েছিল, গানগুলোকে একটা নাট্যসূত্রে বাঁধতে পারলে ভালো হয়। এরপরই তৈরি হয়েছিল ‘শারদোৎসব নাটক।’ ক্ষিতিমোহন সেনের কাছ থেকেই জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ ১৩১৫ বঙ্গাব্দের ৩ ভাদ্র তারিখে দুটো গান বেঁধেছিলেন, যার একটি ‘অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া।’ বিশ্বভারতী পত্রিকার ১৩৫০ সালের বৈশাখ সংখ্যায় ‘বেদমন্ত্রবসিক রবীন্দ্রনাথ’ প্রবন্ধে ক্ষিতিমোহন সেন এ কাহিনির কথা লিখেছিলেন।