ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্ট ২০২২’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবিকার সংকট।
উদ্বেগজনক হলো, করোনায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকদিন ধরেই বিনিয়োগে মন্দাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। উপরন্তু আগের ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন সংকুচিত হয়েছে; তেমনি নতুন করে কোনো কিছুর প্রসারও খুব একটা ঘটেনি। এতে কাজের নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টির সুযোগ হ্রাসের পাশাপাশি অনেকেই চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া অনেকের বেতন-ভাতাও কমেছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর গড়ে ২৬ থেকে ২৭ লাখ মানুষ নতুন করে শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। এ হিসাবে করোনাকালীন দুই বছরে অন্তত ৫২ থেকে ৫৪ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করলেও তাদের বেশিরভাগেরই কর্মসংস্থান হয়নি। আইএলওর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি, করোনাজনিত ক্ষতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব না হলে কয়েক বছরে যা দ্বিগুণ হয়ে ৭ কোটিতে দাঁড়াবে। এটি আমাদের জন্য একটি অশনিসংকেত।