নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার/কেহ নাহি দিবে অধিকার/হে বিধাতা? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মনু মহারাজ তার ‘মনুসংহিতা’ শাস্ত্রগ্রন্থে এমন বিধান লিখে রেখেছিলেন যে, ‘মেয়ে মানুষেরা কখনো স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে না; তারা বাল্যকালে পিতার অধীনে থাকবে, যৌবনে স্বামীর অধীনে ও বার্ধক্যে পুত্রের।’ প্রাচীন সেই সমাজবিধাতা মনু মহারাজের কথা বর্তমানে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। কবিগুরুর ‘অধিকার নাহি দিবে’র প্রশ্নের উত্তরও এখন খুঁজে পাওয়া গেছে। ঈশ্বর প্রদত্ত বটম লাইনিং মা-ই এর উত্তর। নারী জাতের মা-ই এনেছে অধিকার। ভেঙেছে মনু মহারাজের বিধান লিপি।
সকাল ৯টা। একটা রুটি এক পেয়ালা তরকারি, শসা, পেঁয়াজ ও একটা ডিম সামনে নিয়ে ডায়বেটিক রুটিনের নাশতা খাচ্ছিলাম। ফোন বেজে উঠল। তাকিয়ে দেখলাম সালমা, মুজিবনগর। প্রায় এক বছর ওর সঙ্গে কথা হয় না। ঈদের আগে দু-তিন বার ফোন করলাম। ওর স্বামী রাজু ব্যস্ততার মধ্যে বলে, বাড়ি গিয়ে ওকে দিব। রাজুও জানে, আমি সালমার সঙ্গেই কথা বলি। বেশ কয়েক দিন ফিরতি ফোন না পেয়ে খারাপই লাগছিল। তাই ফোন দেখে ধরেই কই, তুমি তো আমার কথা ভুলে গিয়েছ? না স্যার, আপনার করোনা-স্ট্রোক-হাসপাতাল-আইসিইউ ইত্যাদির কথা শোনা থেকে এক বছর যোগাযোগ তো সরাসরি করিনি। এখন কেমন আছেন? হ্যাঁ, সেজন্যই তো তোমাদের দোয়ায় ও আল্লাহর ইচ্ছায় বেঁচে আছি। জানেন, আমি কী করেছি, গরিবদেরকে চাল দিয়েছি, দানখয়রাত, দোয়া পড়াইছি। স্যার, ঘরের ছাদ দিয়েছি।