দেশের ব্যাংক খাতে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক সেবা। পেমেন্ট ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় নিমিষেই স্থানান্তর করা যাচ্ছে অর্থ। জনপ্রিয়তা পেয়েছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসও (এমএফএস)। নগদ অর্থের লেনদেন কমাতে পেমেন্ট ব্যবস্থা সহজ ও আধুনিক করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরও কমছে না নগদ অর্থের লেনদেন। বরং প্রতি বছরই দেশে নগদ অর্থের লেনদেন বাড়ছে।
কোনো নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে দিনে ১০ লাখ টাকার বেশি নগদ জমা বা উত্তোলন হলে তার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) রিপোর্ট করতে হয়। এ ধরনের লেনদেনকে ‘ক্যাশ ট্রানজেকশনস’ বা নগদ লেনদেনের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচনা করে থাকে দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাটি।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের ব্যাংক খাতে নগদ লেনদেন হয়েছিল ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। সেখান থেকে বেড়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংক খাতে নগদ লেনদেনের পরিমাণ ১৪ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সে হিসেবে তিন বছরে ব্যাংক খাতে নগদ লেনদেন বেড়েছে ২০৯ শতাংশেরও বেশি।
ক্রমবর্ধমান নগদ অর্থের লেনদেনের ঘটনায় নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বিএফআইইউ। মূলত উপার্জিত অর্থের উৎস ও গন্তব্য গোপন রাখতে মানুষ নগদ লেনদেনের আশ্রয় নিচ্ছে বলে সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। বিএফআইইউর ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় দেশের ব্যাংক খাত অনেক বেশি ডিজিটালাইজড। সরকারের পক্ষ থেকেও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এবং অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তার পরও প্রতি বছরই নগদ লেনদেন বেড়েই চলছে।