প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বজ্রাঘাতে মৃত্যু ঠেকাতে দেশব্যাপী তালগাছ রোপণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ২০১৭ সালে। উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার দুই ধারে লাগানো হয়েছিল তালের আঁটি। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে লাগানো তালের আঁটিগুলো গত পাঁচ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। আদৌ তালের আঁটি লাগানো হয়েছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহের কথা জানিয়েছেন অনেকে।
কোথায় কতগুলো বীজ লাগানো হয়েছিল এবং সেগুলো এখন কী অবস্থায় আছে সে বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রধান শর্তই দেওয়া হয়েছিল এর আওতায় নির্মিত রাস্তার দুই পাশে তালের আঁটি লাগাতে হবে।
বন বিভাগের পরামর্শে এ কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করার কথা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের। জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও প্রতিটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা এই কার্যক্রম নজরদারি করবে বলেও নির্দেশনা রয়েছে।
এদিকে বজ্রপাত অধ্যুষিত জেলা সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের গড়েরগাঁও গ্রামের রুবেল মিয়া জানিয়েছেন বজ্রাঘাত ঠেকাতে তালের চারা রোপণ করা হয়েছে। এগুলো বড় হতে ২৫-৩০ বছর লাগবে। তবে বজ্রপাত ঠেকাতে তাল চারা নয়, বজ্র নিরোধ দণ্ড স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।