ট্রেনের টিকিটের জন্য জাহিদুল ইসলাম দাঁড়িয়ে আছেন। দীর্ঘ সারি পেরিয়ে তিনি যখন কাউন্টারের সামনে পৌঁছাবেন, তখন টিকিট থাকবে কি না, তা নিয়েই অনিশ্চয়তা রয়েছে। জাহিদুল ঝুঁকি নিতে চান না। তাই লাইনে দাঁড়িয়েই মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে কেটে নিতে চাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত টিকিট। তবে জাহিদুল ব্যর্থ হলেন।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে ৮টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত জাহিদুল ইসলাম রেলওয়ের ওয়েবসাইটে ঢোকার চেষ্টা করেন। অনলাইনে বড়জোর গন্তব্য এবং আসনের শ্রেণি নির্বাচন করতে পেরেছেন। কিন্তু পরের ধাপে গিয়ে ফাঁকা আসনসংখ্যা দেখা কিংবা টিকিট কাটার কাজটি করতে পারেননি তিনি।
জাহিদুল বলেন, সকাল ৮টায় কাউন্টার এবং অনলাইনে টিকিট ছাড়া হয়েছে। ৮টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত সার্ভার ডাউন ছিল। অনলাইন থেকে টিকিট কাটা সম্ভব হয়নি। ৮টা ৩৫ মিনিটের পর সার্ভার ঠিক হলে ওয়েবসাইটে দেখা যায় রাজশাহী-ঢাকা রুটের আর কোনো টিকিট নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢাকায় কর্মরত জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, রেলের সার্ভার ডাউন করে টিকিট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে লাইনে দাঁড়ানো টিকিটপ্রত্যাশীদের বেশির ভাগকেই মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করতে দেখা গেছে। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা অনলাইনে টিকিট কাটার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পারছেন না। শেষ পর্যন্ত কাউন্টারই তাঁদের ভরসা। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে কাউন্টার থেকে টিকিট পেয়েছেন। তবে অনেকেই কাউন্টার থেকেও রাজশাহী-ঢাকা রুটের ঈদ-পরবর্তী ফিরতি ট্রেনের টিকিট পাননি।