‘ছোটবেলায় পুতুলের জামা বানাতাম, পুতুলের বিছানা-বালিশও বানাতাম। সেটাকে পাশে নিয়ে ঘুমাতাম। কেনা পুতুল ছিল, হাতে বানানো পুতুলও ছিল। আম্মু সেলাই করতো। সেখান থেকে টুকরা কাপড় নিয়ে পুতুল ও পুতুলের জামাকাপড় বানানো হতো। একবার তো পুতুলের বিয়ের আয়োজন নিয়ে আমাদের বাসার বড়-ছোট সবাই মিলে দারুণ পিকনিকও করেছিলাম।’ পুতুল নিয়ে এভাবেই শৈশবে হারিয়ে গেলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী কাশফিয়া ঝিলিক।
‘এখন পুতুল খেলার বয়স নেই। তবে বাজারে ছোট ছোট পুতুল দেখলে আনন্দই লাগে। মাঝে মাঝে সংগ্রহ করে ঘরে সাজিয়ে রাখি, ওই পর্যন্তই।’
পাশে বসা আরেক শিক্ষার্থী সাইফুল বললেন, ‘বাসায় বড় বোনরা যখন পুতুল খেলতো, তখন আমাদেরও নিতে হতো। তখন পুতুল খেলাই ছিল মহানন্দের।'
শুধু সবার স্মৃতিতে নয়, পুতুল রয়েছে বাংলার সংস্কৃতিতেও। গ্রাম বাংলার মেলা বা হাটের দিনগুলোতে অন্যতম আকর্ষণ পুতুল। মাটির টেপা পুতুল ও কাপড়ের হাতি-ঘোড়া ও বর-কনের পুতুল এখনও দেখা যায় মেলায়।
এখন অবশ্য নিত্যনতুন দেশি-বিদেশি পুতুলে শপিংমল সয়লাব। ঢাকার প্রায় সব মার্কেট ও শপিং মলে গেলে ছোট-বড় পুতুলের দোকান মিলবে। এমনকি রাজধানীর ফুটপাতেও এখন পাওয়া যায় বাহারি টেডি বিয়ার। এই পুতুল বানিয়ে ও বিক্রি করেও চলে অনেকের সংসার।
দেশীয় কারিগরের বানানো পুতুল থাকলেও বাজারে আধিপত্য এখন চাইনিজ পুতুলের। বাজারগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গড়ে ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকার পুতুল রয়েছে। তবে মধ্যম দামের পুতুলগুলোর বিক্রি বেশি বলে জানান দোকানিরা। এর মধ্যে টেডি বিয়ার রয়েছে চাহিদার শীর্ষে। এরপরই আছে বার্বিসহ বিভিন্ন অ্যাকশন ফিগারের পুতুল।