আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী শুক্রবার দিবাগত রাত একটা নাগাদ রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৮৮ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। করোনাকালে দেশের আর একটি নক্ষত্রের বিদায়। মুহিত সাহেবের প্রয়াণের সময়টা তাৎপর্যপূর্ণ। মাসটি পবিত্র রমজান মাস, বরকতের মাসে। পূর্বেও দিনটি জামাতুল বিদা’র দিন ছিল।
রাজনীতি হতে অবসর নেওয়ার পর মুহিত সাহেব কিছুটা শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। করোনায়ও আক্রান্ত হয়েছিলেন। শেষের দিকে অপ্রত্যাশিতভাবে নিজের কাছের কিছু মানুষের কারণে পেরেশানিতেও পড়েছিলেন। যথারীতি সেখানেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তার সমাধান হয়। এই দেশ এখন একজন শেখ হাসিনাই হয়ে উঠেছেন সকলের ‘মুশকিল আহসানে’র শেষ ভরসা।
শেখ হাসিনার পাশে থেকে তাঁর হাতকে শক্তিশালী করেছেন যারা তাঁদের মধ্যে মুহিত সাহেব অন্যতম। তেমন মানুষের সংখ্যা এখন দ্রুত কমে যাচ্ছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন উল্টো চরিত্রের মানুষরা, যারা অনেকেই মধ্য মেধার বা অতিথি রাজনীতিবিদ। এরা রাজনীতির জগৎটাকে ইতোমধ্যে কলুষিত করে দিয়েছেন। অথচ মুহিত সাহেব প্রচলিত অর্থে কোনও রাজনীতিবিদ ছিলেন বলে আমার কখনও মনে হয়নি। ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র। নিয়েছেন বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডের অর্থনীতি বিষয়ে ডিগ্রি