২০১২ সালে রাজধানীর গুলশান এলাকায় নিজ বাসায় খুন হন ব্যবসায়ী ফজলুল হক। এই হত্যা মামলায় গৃহকর্মী সবুজকে ২০১৫ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
বিচারিক আদালতের কাছে সবুজ দাবি করেছিল, জন্মসনদ অনুযায়ী সে অপ্রাপ্তবয়স্ক। বয়স নিয়ে সবুজের আবেদন নাকচ করেন আদালত। ফলে সবুজের প্রকৃত বয়স কত, তা আর যাচাই–বাছাই করা হয়নি।
অবশ্য খুনের পর গ্রেপ্তার সবুজের বয়স কোথাও ১৯, কোথাও ২০, আবার কোথাও ২১ বছর উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
দেশের জ্যেষ্ঠ পাঁচজন ফৌজদারি আইনজীবী বলছেন, কোনো আসামি যদি আদালতে নিজেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক দাবি করে, তবে তার তদন্ত হওয়া জরুরি।
সবুজের বয়স
মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, ২০১২ সালের ২৮ জুলাই দিবাগত রাতে ফজলুল হক খুন হন। মামলার এজাহারে কোনো আসামির নাম ছিল না।
ফজলুল হক খুনের অভিযোগে ২৯ জুলাই গৃহকর্মী সবুজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পুষ্পেন দেবনাথ মামলায় সবুজের বয়স দেখান ১৯ বছর।
মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে সবুজের বয়স দেখান ২০ বছর।
মামলার তৃতীয় তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের তৎকালীন এএসপি মোহাম্মদ রেজাউল কবির মামলার কাগজপত্রে সবুজের বয়স দেখান ২১ বছর। তবে র্যাবের দেওয়া অভিযোগপত্রে সবুজের বয়স ২০ বছর দেখানো হয়।
২০১৪ সালের ১৭ জুন মামলায় সবুজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। বিচার চলাকালে সবুজের নিজের নিয়োগ করা কোনো আইনজীবী ছিলেন না। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শাহাবুদ্দিন আহমেদ আসামি সবুজের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন।