বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দরপত্রে অংশগ্রহণ করে ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়েছিল মেসার্স থ্রি অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেড। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে বিআইডব্লিউটিএকে এ বিষয়ে চিঠিও দেয়া হয়। তবে অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
যদিও কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএর কিছু কর্মকর্তা কোম্পানিটিকে দায়মুক্তি দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া মেসার্স থ্রি অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের বিরুদ্ধে নদী এবং ভূমি দখলের অভিযোগও রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল দুটি ২৪ ইঞ্চি কাটার সাকশন ড্রেজারসহ সহায়ক জলযান ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহের জন্য দরপত্র আহ্বান করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ‘৩৫টি ড্রেজার ও সহায়ক জলযানসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে থ্রি অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডসহ আরও দুটি কোম্পানি অংশগ্রহণ করে।