বিয়ের পর থেকে দেবরের বাড়ির বারান্দায় সংসার করতেন মরিয়ম। এই এক বারান্দায় পার করেছেন ৫০ বছরের দাম্পত্য জীবন। জীবন সংগ্রামে খেটে খাওয়া এই দম্পতির অবশেষে মিলেছে আশ্রয়ণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষে দিয়েছেন একটি ঘর উপহার। সেই ঘরে এখন তারা নতুন করে স্বপ্ন বুনছেন। বলছিলাম জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাতক্ষীরার এক গৃহহীনের কথা। যার একটি ঘরের কথা ভাবলেও চোখের কিনার বেয়ে নেমে আসতো দুঃখের জল। গৃহহীন এসব মানুষের চোখে এখন সুখের পানি এনেছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। একে একে পালটাচ্ছে জীবনযাত্রার মান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প শুধু দেশেই নয়, আলোচিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। গৃহহীন অসহায় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এমন প্রকল্পের নজির নেই বিশ্বে। মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার করেছেন যে – একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এমন মহৎ উদ্যোগের পেছনে আছে দূরদর্শিতা। আমি নিজে আশ্রয়ণ প্রকল্প দেখতে ঘুরেছি অন্তত ১২টি জেলা। দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ সব জায়গায় এই গৃহহীন মানুষদের একটিই কথা- কোনও দিন ভাবিনি একটা ঘর হবে। আশ্রয়ণ প্রকল্প শুধু কিন্তু ঘর দিচ্ছে না, ঘরের জায়গাসহ জমির মালিকানাও দিচ্ছে। তাদের কারও লাগছে না ঘর ভাড়া। সেই অর্থ তারা বিনিয়োগ করছেন জীবনমান উন্নয়নে। একজন মানুষের মাথার ওপর ছাদ না থাকার দুঃখ কেবল সেই বুঝতে পারে, যার আছে সে এই সুখ অনুধাবন করতে পারবে না। মাথার ওপর নিজের একটি ছাদ এলেই কীভাবে একটি মানুষের জীবনযাত্রা পাল্টে দেয়, এই প্রকল্প হচ্ছে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ।