ডায়রিয়ায় আতঙ্ক নয় চাই বিশেষ সতর্কতা

বার্তা২৪ প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২২, ১০:০৬

ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। আমরা সাধারণত ‘ডায়রিয়া’ও ‘পাতলা পায়খানা’ শব্দ দুটি একই অর্থে ব্যবহার করি। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় পায়খানা নরম বা পাতলা হওয়া মানেই যে ডায়রিয়া হয়েছে, এমনটি নয়। সারাদিনে তিনবার বা তার বেশি নরম বা পাতলা পায়খানা হলে তাকেই সাধারণত ডায়রিয়া বলা হয়। এছাড়া কারও যদি স্বাভাবিকের তুলনায় ঘনঘন পাতলা পায়খানা হয় সেটাকেও ডায়রিয়া হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। যে শিশুরা বুকের দুধ পান করে, তাদের পায়খানা স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা নরম আর আঠালো হয়। সেটা ডায়রিয়া নয়।


যে-কোনো সময় মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। সব বয়সের মানুষের ডায়রিয়া হতে পারে, গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দিজ্বরের মতো মৌসুমি রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতিবছরই গরমকালে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। এই বছর মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে এবং মার্চের মাঝামাঝি থেকে বেশ ব্যাপকহারে তা বাড়তে শুরু করেছে। সাধারণত প্রতিবছর এর প্রকোপ শুরু হয় এপ্রিলের শুরু থেকে এবং ছয় থেকে আট সপ্তাহ তা চলতে থাকে। কিন্তু এই বছর ডায়রিয়া যে শুধু আগেভাগেই শুরু হয়েছে তাই নয়, রোগীর সংখ্যাও আগের যেকোনো বছরের চাইতে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে ডায়রিয়া এখন কিছুটা কমে আসছে।


ডায়রিয়া সাধারণত ৫-৭ দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে ভালো হয়ে যায় তবে ডায়রিয়া থেকে যদি মারাত্মক পানিশূন্যতা হয়, তবে তা মৃত্যুর কারণও হতে পারে।  ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন লবণ বেরিয়ে যায়। যখন এই ঘাটতি পূরণ করা হয় না, তখনই পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই ডায়রিয়ার প্রথম চিকিৎসা হলো পানিশূন্যতা পূরণ করা। পানিশূন্যতার প্রধান লক্ষণগুলো হচ্ছে—মুখ শুকিয়ে আসা; পিপাসা লাগা ;চোখ শুকনো লাগা বা খচখচ করা ;গাঢ়, তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হওয়া ও প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া। ডায়রিয়ার কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে ডায়রিয়ার কিছু গুরুতর লক্ষণ প্রকাশ পেলে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে দ্রুত যেতে হবে। লক্ষণগুলো হলো পায়খানার সাথে রক্ত বা আঠালো মিউকাস যাওয়া;প্রচণ্ড পেটব্যথা; ডায়রিয়ার অবস্থার উন্নতি না হওয়া; পানিশূন্যতা পূরণ না হওয়া; ডায়রিয়ার সাথে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জ্বর, অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকা এগুলো গুরুতর অবস্থা নির্দেশ করে, তাই ঘরোয়া চিকিৎসার সাথে সাথে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us